অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভূমি দুর্নীতি বা আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই মামলায় ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে ৭ বছরের কারাদাণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ (শুক্রবার) রাওয়ালপিন্ডির কেন্দ্রীয় কারাগার আদিয়ালার ভেতরে বসানো এক অস্থায়ী আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন। এই মামলার রায়কে ঘিরে আদিয়ালা কারাগারে আশপাশে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় ঘোষণার আগে বুশরা বিবিকে আদালত কক্ষ থেকেই গ্রেফতার করা হয়।
বিচারক নাসির জাভেদ রানা সাজা ঘোষণা করে বলেন, “প্রসিকিউশন তার মামলার অভিযোগ প্রমাণ করেছে। ইমরান খান দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।”
পাকিস্তানি পত্রিকা ডন জানিয়েছে, আদালত এই দম্পতিকে জরিমানাও করেছে। ইমরানকে ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি ও বুশরাকে পাঁচ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাদের যথাক্রমে ছয় মাস ও তিন মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
ডনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই রায় এর আগে তিনবার পেছানো হয়েছিল। পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের পর ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় অভিযুক্ত হন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান ও বুশরা।
রায়ের সময় আদিয়ালায় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) নেতৃত্ব দেওয়া প্রসিকিউটর জেনারেল সরদার মুজাফফর আব্বাসি।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইমরান খান, বুশরা বিবি, গহর খান, সোয়েব শাহীন, সালমান আকরাম রাজা এবং আরও বেশ কিছু আইনজীবী।
ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০টি মামলা রয়েছে। যদিও ইমরান বলেছেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এসব মামলা রাজনৈতিকভাবে উদ্ধেশ্যপ্রণোদিত এবং তাকে ক্ষমতায় ফিরে আসা থেকে বিরত রাখার জন্যই এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply